Posted on : Tuesday, 12th February 19 , 09:10 PM
গত ১২ নভেম্বর থেকে ৮৭ দিন ধরে কলকাতা মিন্টো পার্কে প্রাইম হোটেলের সামনে একটানা অবস্থানের পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন শুরু করে প্রতারিতদের ১১ জন । গত ৯ ফেব্রুয়ারি কৈলাস বিজয়বর্গীয় অনশনকারীদের আশ্বাস দেন যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রোজভ্যালি মামলার শুনানি হবে এবং মামলাকারীদের পক্ষেই আদালতের রায় যাবে । এই আশ্বাসে সাময়িক রিরতি দেয় অনশনকারীরা । তারা জানায় ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই মামলার কোনো সন্তোষজনক শুনানি না হলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রচুর সংখ্যক আমানতকারী ও এজেন্ট কোলকাতার রাজপথে অনশনে বসবে ।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চে চিটফান্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। যদিও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনেরাল কৌশিক চন্দ। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে ED-র কাছে রোজ়ভ্যালির ৪০০ কোটি টাকা রয়েছে। সেই টাকা আমানতকারীদের কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। শুনানিতে রাজ্যের তরফে অমিতেষ ব্যানার্জি হলফনামা দিয়ে বলেন, "মোট ২৮৭ কোটি টাকা শ্যামল সেন কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে আমানতকারীদের ২৫১ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২ কোটি ৩৯ লাখ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে পড়ে রয়েছে।" তা শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে সেই টাকা দ্রুত উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও সাতদিনের মধ্যে আবার হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে ৮ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট মন্তব্য করে, "চিটফান্ড মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের এজেন্সিগুলি ঠিকমতো কাজ করছে না। সেজন্য হাজার হাজার আমানতকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।" হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। উলটে মামলা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য কী করছে তা নিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ ।
আগামীকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের রুম নাম্বার ২৩৮ এ ১ নং সিরিয়ালে এই মামলাটি আছে । বেলা ৩ টের সময় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা । সেইদিকেই তাকিয়ে আছে রোজভ্যালির প্রতারিত আমানতকারী ও এজেন্টরা ।
© ALL RIGHTS RESERVED