☕ Being a Tech Savvy, Hit Subscribe! ☝





বৈধ হতে চলেছে আগের পরীক্ষাই, পরবর্তী শুনানি ৮ ই মার্চ

by Xynes Bengali News


Posted on : Monday, 18th February 19 , 08:34 PM







D.El.Ed পরীক্ষা বাতিল কাণ্ডে পরিস্থিতি জটিল হলেও অবশেষে হার মানতে চলেছে NIOS ।

আজ ১৮ ই ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সমাপ্তি চ‍্যাটার্জীর এজলাসে NIOS মামলার শুনানি ছিল । উপস্থিত ছিলেন রাজ‍্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গত ১২ফেব্রুয়ারি যে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল তা দিতে ব‍্যর্থ হয় NIOS কতৃপক্ষ । এবং সেই রিপোর্ট তারা জমা দেয় আজকে । এবং একটি মুখবন্ধ খামে তাদের তদন্ত রিপোর্ট সমেত একটি মোবাইল জমা দিতে চাইলে রাজ‍্য সরকারের আইনজীবী বিরোধিতা করেন । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেটি জমা দিতে বলা হয় তদন্তকারী অফিসারকে ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২০, ২১ ডিসেম্বর সারা দেশে NIOS কর্তৃক D.El.Ed course কোড ৫০৬ ও ৫০৭ এর যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তা আচমকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ । সর্বভারতীয় পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা বাতিল করা হয় । যার পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেতে শুরু করেন শিক্ষকরা ।

বাংলার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে শিক্ষকদের বিপদে ফেলার চক্রান্ত করছে NIOS , এই অভিযোগে সরব হন মইদুল ইসলাম । তাঁর নেতৃত্বাধীন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা ইতিপূর্বে ২৮ ডিসেম্বর NIOS এর কলকাতা অফিসে তাঁদের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন । কোনো ফল না পাওয়ায় অবশেষে শিক্ষক অমলেন্দু বেরা প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের কাছে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর পরেই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ চরমতম আন্দোলনের পথ বেছে নেয় ।





কিন্তু আদালতের নির্দেশমত ৩রা ফেব্রুয়ারি ফের ঐ দুটি বিষয়ে পরীক্ষা নিলেও কোন পরীক্ষাটি বৈধ তা এখনও বিচারাধীন ।

শিক্ষক ঐক‍্য মুক্ত মঞ্চের রাজ‍্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম রাজ‍্য কমিটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ,

"আজ দুপুর ২টায় শুনাণী হয়৷ রাজ্য সরকারের Advocate General কিশোর দত্ত মহাশয় উপস্থিত ছিলেন৷ আজ শুনাণী হয় এবং মাঝে CBI তদন্তের কথা বিচাপতি বলেন ৷ আজ NIOS হলফনামা জমা করেন যেটা ১২ ই ফেব্রুয়ারীতে করার কথা ছিল৷ এবং মুখবন্ধ খামে একটা মোবাইল জমা দিতে চান কিন্তু রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বিরোধিতায় বিচারপতি সেটা তদন্তকারী অফিসারকে জমা করতে বলেন ৷ এবং পরবর্তী তারিখ ঠিক হয় ৮ই মার্চ ৷ তখন আমাদের আইনজীবি বলেন ৩১ শে মার্চ র মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ তখন NIOS র আইনজীবী বলেন নিয়ম অনুসারে ৩১ শে মার্চের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হলেই হবে NCTE র নিয়ম অনুসারে অর্থাৎ চাকরী বাঁচাতে৷সেজন্যই NIOS র শেষ পরীক্ষার তারিখ রাখা হয়েছে ৩০ শে মার্চ ৷ তখন বিচারপতি বললেন নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষা শেষ করতেই NIOS বাধ্য৷ সুতরাং পরবর্তী তারিখ ৮ই মার্চ ।"

অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট দুর্ভোগ হলেও এখনও লড়াই চলছে এবং NIOS এর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ।