১ নম্বর সিরিয়ালে NIOS মামলা, আগামীকাল , ১ফেব্রুয়ারি
Posted on : Friday, 1st February 19 , 04:10 PM
গত ২১ , ২২ ডিসেম্বর সারা দেশে NIOS কর্তৃক D.El.Ed course কোড ৫০৬ ও ৫০৭ এর যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তা আচমকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ । সর্বভারতীয় পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা বাতিল করা হয় । যার পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেতে শুরু করেন শিক্ষকরা ।
বাংলার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে শিক্ষকদের বিপদে ফেলার চক্রান্ত করছে NIOS , এই অভিযোগে সরব হন মইদুল ইসলাম । তাঁর নেতৃত্বাধীন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা ইতিপূর্বে ২৮ ডিসেম্বর NIOS এর কলকাতা অফিসে তাঁদের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন । কোনো ফল না পাওয়ায় অবশেষে শিক্ষক অমলেন্দু বেরা প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের কাছে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর পরেই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ চরমতম আন্দোলনের পথ বেছে নেয় ।
গত ২৫ শে জানুয়ারি আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী পরীক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়ানোয় ৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার স্থগিতাদেশ মেলেনি আদালতে । এরপর পরীক্ষার্থীরা প্রায় সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন । কিন্তু, গতকাল আন্দোলনকারী সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের কাছে রাজ্যের মাননীয় শিক্ষাসচিব মারফত একটি চিঠি আসে তা থেকে জানা যায় মঞ্চের পূর্বকৃত দাবিকে মান্যতা দিয়ে রাজ্য সরকার পুণরায় পরীক্ষা না নেওয়ায় আবেদন জানিয়ে NIOS কে চিঠি পাঠিয়েছে এবং আজ এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চকে ডেকে পাঠান । এর আগে বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেন। যার ফলেই অবস্থান বদল করে রাজ্য সরকার এবং গত ২৫ জানুয়ারি এজলাসে রাজ্য সরকারি আইনজীবীর নিস্ক্রিয়তার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে রাজ্য সরকার । যার ফলে নতুন আশা নিয়ে আগামীকাল ফের মামলা করা হয়েছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে । এবং আগামীকালই জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য আগামীকাল মামলাটি মাননীয়া বিচারপতি সমাপ্তি চ্যাটার্জীর এজলাসে ১১ নম্বর কোর্টে ১ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে । যার অর্থ আগামীকাল শুনানি নিশ্চিত । তাই ঐ রায়ের দিকে তাকিয়ে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার পরীক্ষার্থী । পরীক্ষার্থীদের পক্ষে ইতিবাচক রায় হতে পারে বলেই জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস সামিম ।
© ALL RIGHTS RESERVED