by YouTech
Posted on : Friday, 1st February 19 , 04:10 PM
আটকানো গেল না ৩ ফেব্রুয়ারি NIOS এর নির্ধারিত D.El.Ed পরীক্ষা । কিন্তু বাতিল করা হয়নি আগের পরীক্ষাটিকেও । কোনো প্রমাণ ছাড়া কীভাবে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা বাতিল করল এই বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি NIOS এর পক্ষের আইনজীবী । তাই আগের পরীক্ষাটিকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়নি ।
আজ রাজ্য সরকারের আইনজীবী ও শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষের আইনজীবী NIOS এর বিরুদ্ধে জোর সওয়াল করলেও ৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা আটকানোর ব্যাপারে শেষ রক্ষা করা হয়নি । আজ ১১ টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত টানা সাড়ে ৩ ঘন্টা সওয়াল জবাবের পর এই রায় আসে ।
এখন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি কোর্টে NIOS এর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে । এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে । NIOS যদি প্রমাণ করতে পারে আগের পরীক্ষার প্রশ্ন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ফাঁস হয়েছে তবেই বাতিল হবে ২১ , ২২ ডিসেম্বরের পরীক্ষা । তা প্রমাণ করতে যদি NIOS ব্যর্থ হয় তবে বৈধ হবে ২১,২২ ডিসেম্বরের গৃহীত পরীক্ষা এবং বাতিল হবে ৩ রা ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২১ , ২২ ডিসেম্বর সারা দেশে NIOS কর্তৃক D.El.Ed course কোড ৫০৬ ও ৫০৭ এর যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তা আচমকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ । সর্বভারতীয় পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা বাতিল করা হয় । যার পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেতে শুরু করেন শিক্ষকরা ।
বাংলার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনে শিক্ষকদের বিপদে ফেলার চক্রান্ত করছে NIOS , এই অভিযোগে সরব হন মইদুল ইসলাম । তাঁর নেতৃত্বাধীন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা ইতিপূর্বে ২৮ ডিসেম্বর NIOS এর কলকাতা অফিসে তাঁদের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন । কোনো ফল না পাওয়ায় অবশেষে শিক্ষক অমলেন্দু বেরা প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের কাছে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর পরেই শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ চরমতম আন্দোলনের পথ বেছে নেয় ।
শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন ,
" আমরা শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ শিক্ষক স্বার্থে রাস্তার লড়াই র সাথে আইনী লড়াই চালিয়েছি৷ গত ২১ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিয়েছি৷ গত ২৫ তারিখ হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ পাইনি ।
ফলে শিক্ষক রা খুব টেনশনে ছিলেন একই দিনে আগামি ৩ রা ফেব্রুয়ারী দুরবর্তী কেন্দ্রে কিভাবে ৬ ঘন্টা পরীক্ষা হবে তা ভেবে৷ ইতিমধ্যে এই টেনশনে ভাঙর এবং কোচবিহারের ২ জন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে "
তথাপি আজ অনেক আশা নিয়ে এই লড়াইটা লড়া হলেও পরীক্ষা দিতে যেতেই হচ্ছে । তবে NIOS এর তুঘলকি সিদ্ধান্ত প্রশ্নের মুখে পড়েছে আজকের আদালতের রায়ে । হঠাৎ পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত যুক্তিসংগত কিনা সে বিষয়ে প্রশ্নচিহ্ন রেখেই আজকের শুনানি শেষ হয় ।
আদালতের পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ।
© ALL RIGHTS RESERVED