কৃষ্ণগহ্বরে ৩২০০০ নক্ষত্রপতন! সব চরিত্র কাল্পনিক? PART-1

by YouTech


Posted on : Tuesday, 13th February 24 , 11:16 PM


Disclaimer

This story is a work of fiction. Any resemblance to actual persons, living or dead, or events is coincidental. The author takes creative liberties with characters and events. The story is not intended to harm or defame any individual or group. Readers should interpret its content with discretion.



সব চরিত্র কাল্পনিক



প্রথম পর্ব: ফাঁকা ফ্ল্যাটে মনুস্মৃতি


দ্বিতীয় পর্ব: শিক্ষামন্ত্রীর জালে SSC উকিল



Part 1: ফাঁকা ফ্ল্যাটে মনুস্মৃতি








সাল ২০১৫ । জুলাই মাসের শেষ দিক । চারিদিকে বিরাট বন্যার আশঙ্কায় চিন্তিত মানুষ । ট্রেনের কাঁচবন্ধ জানালার পাশে বসে অনিমেষ। বয়স ১৯ এর কাছাকাছি। গায়ে সাদা টি শার্ট। তাতে ডঃ বি আর আম্বেদকরের ছবি বসানো । সারা বাংলা জুড়েই আকাশের মুখ ভার । টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে । ট্রেনের ভিতরে বেকারত্বের গভীরতায় মোড়া জনতার জঙ্গল । নোনতা নিশ্বাসের গুমোট বাতাস ভেদ করে হঠাৎ এক অপরিচিতের সাথে আলাপ অনিমেষের । বছর ২৪ এর এক স্থূলকায় যুবক সামনে থেকে হঠাৎ ডাক দিল অনিমেষ কে ।




স্থূলকায় যুবক : তুমি কি SC কমরেড ??


অনিমেষ : না । জাতিতে SC কিন্তু সার্টিফিকেট নেই । আমাকে কমরেড বলছো কেন? তুমি কি কমিউনিষ্ট ?


স্থূলকায় যুবক : ওই সব মিলিয়ে মিশিয়েই । তুমি বোধ হয় আম্বেদকর স্যারের খুব ফ্যান । তাই তোমাকে আমাদের সহযোদ্ধা মনে করে ডাকলাম । আমার নাম শুভব্রত । শুভব্রত মল্লিক । বাড়ি হাবরা । ছেলেপেলে আমাকে দেবু দা বলে ডাকে । তুমি ?


অনিমেষ : আমি অনিমেষ । সেকেণ্ড ইয়ারে পড়ি ।


শুভব্রত : আম্বেদকর স্যারকে নিয়ে কী ভাবো ?


অনিমেষ : সবাই স্যার আম্বেদকরের ফ্যান । ভারতের সবাই। প্রতিটা মানুষ । জাত ধর্ম নির্বিশেষে বাবাসাহেবকে ভালোবাসে । আমিও ভালোবাসি । এতে কোনো General কিমবা SC, ST, OBC এর ব্যাপার নেই । আমি আম্বেদকর স্যারকে ভালোবেসেছি আমার এক ইতিহাস মাষ্টার মশাইয়ের মুখে ওনার বিপ্লবের কথা শুনে । মাষ্টারমশাই ব্রাহ্মণ ছিলেন । আম্বেদকর স্যার সবার জন্য । সবার ওপরে। উনি না থাকলে আজকের ভারতবর্ষ অচল হয়ে থাকত ।


শুভব্রত : বেশিরভাগ মানুষ এইভাবে ভাবে না ।


অনিমেষ : সে ব্যতিক্রম থাকতে পারে অথবা তোমার নিজস্ব গোঁড়ামি ।






শুভব্রত : হ্যাঁ , আমি একটু গোঁড়াই বলতে পারো। কারন ২৫০০ বছর ধরে আমরা ব্রাহ্মণ্যবাদী গোঁড়ামির শিকার । তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব উল্টে পাল্টে দিই। প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে করে।


অনিমেষ : তোমার কথার সাথে আমি আজকের ইজরায়েলকে খুঁজে পেলাম। মানসিকতার অনেকটা মিল আছে । হিটলার ৭৭ বছর আগে যা করেছে ওরা এখন গাজার সাথে তার পাল্টা করছে ।


শুভব্রত : হিটলারের বদলা নিতে স্টালিন দরকার । গান্ধী নয় ।


অনিমেষ : শুরুতেই ভেবেছি তুমি গুরু উগ্র বামপন্থী ।


শুভব্রত : কিছুটা বলতে পারো । আমরা একটা সংগঠন খুলেছি । The Rebel Saturn Gang ওরফে TRSG । আমাদের কর্মকাণ্ড মূলত উত্তর ২৪ পরগনায় । তুমি যোগ দেবে ?


অনিমেষ : আমার বাবা উগ্র বাম ছিল । সমরেশ মজুমদারের "কালবেলা" পড়ে আমার নাম রেখেছিল অনিমেষ । বাবা চেয়েছিল আমি কালবেলার অনিমেষ হয়ে উঠি ।


শুভব্রত : TRSG তে যোগ দিয়ে দেখো । সমাজকে দেখার চোখ বদলে যাবে ।


হঠাৎ আকাশটা আরও কালো হয়ে ওঠে ট্রেনের হুইসেলটা অনেক জোরে বেজে উঠল । এতোক্ষণ ষ্টেশনে থেমেছিল। আবার বৃষ্টি নামল । দেশের বাড়িতে বন্যার আশঙ্কায় অনিমেষের মনটা আবার কেঁদে উঠল ।






শুভব্রত : তোমাকে তুমি বললাম । আপত্তি নেই তো !


অনিমেষ : না , বলতে পারো ।


শুভব্রত : হয়তো একদিন তুই ডেকে ফেলব ।


অনিমেষ : হয়তো ।


শুভব্রত : কোথায় যাচ্ছো ?


অনিমেষ : কলকাতায় । একটা কোচিং নিতে যাই ।


শুভব্রত : আজ যদি না যাও ?


অনিমেষ : বাড়িতে ময়ূরাক্ষীর জল ঢুকছে । তাও এসেছি পড়তে ।


শুভব্রত : চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হলে আমাদের TRSG তে জয়েন করো । চিন্তাভাবনার বাতি জ্বলে উঠবে ।


অনিমেষ : তোমার কথা আমার পছন্দ হয়নি দেবু দা ।


শুভব্রত : তুমি শালা যুধিষ্ঠিরের বাচ্চা । তোমাদের মতো কিছু গাণ্ডুর জন্য আমরা এতোদিন ধরে শোষিত ।


অনিমেষ : তোমাদের লক্ষ্য কী ? সংবিধান তো আমাদেরকে সবরকম ভাবে সুরক্ষিত করেছে !


শুভব্রত : আমাদের লক্ষ্য ব্রাহ্মণ্যবাদের গাঁড় মারা ।


অনিমেষ : কেন ?


শুভব্রত : ২৫০০ বছরের শোষণের পাল্টা মার । সব শালাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেব ।


অনিমেষ : ভারতের সংবিধান , আইনের ওপর তোমার ভরসা নেই ?


শুভব্রত : আইন , সংবিধান এরা তো সবকিছু মিটমাট করতে এসেছে । কিন্তু আমরা তো মিটমাট চাই না । আমরা চাই মারের পাল্টা মার । আমাদের তো একদিন পাল্টা মারের দিন আসুক ।


অনিমেষ : এক প্রজন্মের রাগ আরেক প্রজন্মের ওপর কেন ?


শুভব্রত : ২৫০০ বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষের পিঠে পড়া প্রতিটা চাবুকের দাগ আমাদের DNA তে স্মৃতি হয়ে আছে । আর মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস শোষক ও শোষিতের ইতিহাস । আমরা ভুলতে পারি না ।


অনিমেষ : আমিও ভুলতে পারি না । কিন্তু তাই বলে তো আরেকবার তাদের রূপও ধরতে পারি না। তোমাদের সাথে আমি নেই ।






শুভব্রত : হয়তো আমি তোমাকে বোঝাতে পারছি না অনিমেষ । কিন্তু একবার বিশ্বাস করে দেখো । আমার ফ্ল্যাট আছে কোলকাতায় । চলো আজ রাতটা থাকবে ।


অনিমেষ : প্লিজ বন্ধু । আজ নয়।


শুভব্রত : প্লিজ । শুধু আজকের দিনটা ।


অনিমেষ : না। শিয়ালদা এসে গেছে । আমি নামলাম ।


শুভব্রত তাকিয়ে থাকে অনিমেষের দিকে । অনিমেষ আসতে আসতে নামতে থাকে । শুভব্রত অনিমেষের পিছনে হাঁটতে থাকে । ভিড়ের মধ্যে মিশে যাচ্ছে অনিমেষ। শিয়ালদা ষ্টেশনের বাইরে বড়ো পতাকার তলায় এসে দাঁড়াল অনিমেষ । পিছন থেকে আবার শুভব্রত এসে দাঁড়াল ।






শুভব্রত : প্রাইমারি টেটের ফর্ম ভরেছো ?


অনিমেষ : হ্যাঁ।


শুভব্রত : চাকরি বাকরির ইচ্ছে আছে ।


অনিমেষ : অবশ্যই আছে ।


শুভব্রত : কোনো লাভ হবে না । আমরা সব চুলকে দেব ।


অনিমেষ : মানে ?


শুভব্রত : লোকে আমার রেজাল্ট নিয়ে খিল্লি ওড়ায় ।


অনিমেষ : কেন ? ফেল করেছিলে নাকি ?


শুভব্রত : ধুর ! এখনকার দিনে ফেল কেউ করে নাকি ?


অনিমেষ : তবে ?


শুভব্রত : আমি শালা গর্ব করে বলে বেড়াই । আমি মাধ্যমিকে ইংরেজিতে ২৭ পেয়েছি । অঙ্কে ৩৪ , ভৌতবিজ্ঞানে ৩৮ , ভূগোলে ৪০ । কিন্তু আমি যা জানি তা ৯০% পাওয়া হীরের টুকরো বাঞ্চোৎদের গাঁড় মেরে দিতে যথেষ্ট ।


অনিমেষ : কী জানো তুমি ?


শুভব্রত : ফিক্সিং বস ফিক্সিং । দেবু দা হাত দিলেই আগুণ হয়ে যাবে ।


অনিমেষ : ফালতু ঢ্যামনামি রাখো । কীসের ফিক্সিং ?


দেবু : এই মহাবিশ্বের সব কিছু ফিক্সড । অতীত , বর্তমান , ভবিষ্যৎ সব ফিক্সড ।


অনিমেষ : "Anytime exist All the time" , এসব আমি জানি , দেবু দা । তোমার ওসব ঢঙের থিওরি রাখো । আমার বাস আসছে ।






দেবু : তুমি জানো না তোমার সাথে আজ রাতে কী হতে চলেছে । ভবিষ্যৎ ফিক্সড । আর আমি সেটা জানি অনিমেষ।


অনিমেষ : আমাদের বাড়িতে রাত ১২ টার আগে বন্যার জল ঢুকে যাবে। আমি সেটা জানি ।


শুভব্রত : বাল জানো । আজ রাতে অনিমেষ হালদার আমার সাথে আমার ফ্ল্যাটে বসে তেল খাবে । দেবু দার মাল । জ্ঞানের আগুণ জ্বলে উঠবে ।


অনিমেষ : তোমার ওই ভাটের জ্যোতিষের আগুণ দিয়ে তোমার পোঁদের তলায় সেঁক দাও । আমি ড্রিঙ্কস করি না।


শুভব্রত : আজ করবে ভাই । দেবু দা হাত দিলেই আগুণ হয়ে যাবে ।


অনিমেষ : তোমার সাথে আমার ক্লাস মেলে না দেবু দা। কোনো মতেই না । আমি মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিকে ৮৫% পাওয়া ছেলে । তোমার ওই ইংরেজির নম্বর শুনে আমার হিসু পেয়ে গেল । সত্যি দেবু দা ।


শুভব্রত : আমার তো আবার ওই ক্লাস শব্দটা শুনলে হিসু পায় ভাই ।






অনিমেষের হঠাৎ একটা ফোন আসে । অনিমেষ ফোনটা ধরলো । কিছুক্ষণ কথা বলার পর কান থেকে ফোনটা রেখে বলল , " যাআআ শালা "


শুভব্রত : কী হয়েছে ভাই ? এনি প্রব্লেম ? বাড়িতে জল ঢুকেছে ?


অনিমেষ : আজ কোচিং বন্ধ । DVC , তিলপাড়ার জল ছেড়েছে । অনেকে ঢুকতে পারবে না তাই ।


শুভব্রত : দেখলে ! সবাই শালা নিজের ধান্দায় । এখন কি বাড়ি ফিরে যাবে ।


অনিমেষ : উপায় কী ?


শুভব্রত : আমার ফ্ল্যাটে চলো । সন্ধ্যের মধ্যে তোমায় ছেড়ে দেব ।


অনিমেষ : যদি গ্রামে জল ঢুকে যায় ?


শুভব্রত : ঢুকবে না । দেবু দা ময়ূরাক্ষী আটকে দেবে । চলো কমরেড । You are now a member of TRSG .. জয় ভীম ।


অনিমেষ : জয় ভীম ।




শুভব্রত : তোমাকে বলেছিলাম না । সব ফিক্সড ।




অনিমেষ : Anytime exists all the time ?


শুভব্রত : রাইট । এমনকি ধরো আকাশের যে তারাগুলো হাজার বছর আগে ধ্বংস হয়ে গেছে আমরা তাকে আজও দেখে যাচ্ছি । যে ভবিষ্যৎ আমাদের চোখে এসে পৌঁছায়নি তা ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে । এমন কিছু ভবিষ্যতের কথাও আমি জানি ।


অনিমেষ : তুমি কী ত্রিকাল-দর্শী ? চতুর্মাত্রিক ব্রহ্মাণ্ড কে দেখতে পাও ?


শুভব্রত : কিছু কিছু ।


অনিমেষ : যেমন ?


শুভব্রত : যেমন , এখন ২০১৫ সাল । ধরো এখান থেকে ঠিক ৮ আলোকবর্ষ দূরে একটা বিরাট ছায়াপথ আছে । আর সেই ছায়াপথের ৩২০০০ নক্ষত্র একটা কৃষ্ণগহ্বরের গাঁড়ে ঢুকে যাবে । কিছুতেই বেরোতে পারবে না । সেই ৩২০০০ তারার ছায়াপথের একসাথে উধাও হওয়ার ঘটনা যখন তোমার চোখে ধরা দেবে তখন ঠিক ২০২৩ সাল । ৮ বছর হয়ে গেছে । এই সময়ে ঠিক ৮ বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী । অথবা তুমি নিজেই সেই তারাদের একটা অংশ হয়ে গেছো ।


অনিমেষ : এতো কাছাকাছি কোনো ছায়াপথ নেই দাদা । আর ৩২০০০ তারা কখনও একসাথে একটা ব্ল্যাক হোলের ভিতর ঢুকে যায় না ।


শুভব্রত : কালের যাত্রাপথে কখন কে কোথায় ফেঁসে যাবে কোথাও লেখা থাকে না । না মনুস্মৃতি না ভারতের সংবিধান । কখন কোনটা কার অস্ত্র হয়ে যায় বলা মুশকিল ।


অনিমেষ : তুমিও কি টেটের ফর্ম ভরেছো দেবু দা ?


শুভব্রত : TRSG জয়েন করো সব জানতে পারবে । জয় ভীম ।


অনিমেষ : জয় ভীম।




৮ আলোকবর্ষ দূরে ৩২০০০ নক্ষত্রের ছায়াপথ একদিন একসাথে একটা বিরাট কৃষ্ণগহ্বরে ঢুকে যাবে । যেদিন সেই অতীতের আলো ভবিষ্যত রূপে তোমার চোখে এসে পড়বে । তখন তুমি নিজেই সেই ৩২০০০ তারার অংশ হয়ে গেছো । যে ছায়াপথ কোনোদিন ওই কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরোতে পারবে না । ট্যাক্সিতে যেতে যেতে এই কথাটা বার বার কানে বাজছিল অনিমেষের । অনিমেষ ভুল করে ঘুমিয়ে পড়েছিল শুভব্রতর কাঁধে মাথা রেখে । পাশে কালো চশমা পরে বসে দেবু দা । একটা রহস্যময় স্তব্ধতায় ঝিমিয়ে আছে। ট্যাক্সি চলছে শুভব্রতর কলকাতার ফ্ল্যাটের দিকে । মাধ্যমিকে এতো কম নম্বর পাওয়া একটা ফালতু ছেলে চাকরি নিয়ে কী জ্ঞান দেবে অনিমেষকে তা ও জানে না । শুধু জানে পরামর্শগুলো নিতে তো ক্ষতি নেই । কলকাতার রাস্তার দুধার জুড়ে বেকার ছেলেদের ডেকে চলেছে হাজার হাজার প্রলোভন । SSC , Bank , Rail , PSC সব যেন এই কোচিং ইনষ্টিটিউট গুলোর হাতের মুঠোয় । দেবু দা তো নিশ্চয়ই অন্য কোনো কথা বলতে ডেকেছে । শুনেই দেখা যাক না । The Rebel Saturn Gang ... T. R. S. G. সত্যিই অদ্ভুত । নামও দিতে পারে ।






জীবনে কোনোদিন কোনো নেশা করেনি অনিমেষ । আজ জীবনে প্রথম । তাও আবার গাঁজা । অনিমেষ জানতে পারল দেবু গোপনে গাঁজা বিক্রি করে । আর তার ঢাল TRSG সংগঠন । সেই দেবুই আবার নিজেকে মনে মনে আম্বেদকরের দূত ভাবে । পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। ঝাপসা চোখে অনিমেষ দেখতে পাচ্ছে অনেক বছর আগের একটা দৃশ্য । অনিমেষের স্মৃতি পৌঁছে গেছে চার প্রজন্ম আগে। মনুস্মৃতি জ্বলছে । আর সেই মনুস্মৃতির পোড়া ধোঁয়া গিলে নিচ্ছে শুভব্রত ওরফে দেবু। মাথাটা বনবন করে ঘুরছে । উল্কাপাতের মতো ৩২০০০ তারার ছায়াপথ একটা কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ছুটে চলেছে । খুব জোরে ছুটছে অনিমেষও । সময়টা যেন ক্রমশ থেমে আসছে । এটাই কি তবে টাইম ডায়ালেশন ? এই ঘটনাটা আগেও বহুবার স্বপ্নে দেখেছে অনিমেষ । হয়তো ভবিষ্যতেও দেখবে । দেবু দার কথা অনুযায়ী মাত্র ৮ আলোকবর্ষ দূরেই আছে এই ৩২০০০ তারার ছায়াপথ । কিন্তু বিজ্ঞান বলছে এতো কাছাকাছি কোনো ছায়াপথ থাকতে পারে না । হঠাৎ জলের ঝাপটায় ঘুম ভেঙে গেলো অনিমেষের । দেবু দা সামনে দাঁড়িয়ে । অনিমেষ শুয়ে শুভব্রতর ফাঁকা ফ্ল্যাটের মেঝেতে । কৃষ্ণগহ্বরে সময়টা থেমে ছিল না । এই ফ্ল্যাটে প্রায় ৮ ঘণ্টা অতিবাহিত । রাত ৮ টা বাজে । আজ রাতের অভিজ্ঞতা ভালো নয় অনিমেষের । একটা পোড়া দুর্নীতির গন্ধ এই TRSG সংগঠনটার ভিতর । দেবু দা জলের জগ হাতে কাছে এসে বলল - " কী রে বাঞ্চোৎ ? ময়ূরাক্ষী তো তিলপাড়ার গাঁড় ফুটো করে ফেলেছে । বাড়ি ফিরবি না ? "






+